ছাতকের শিক্ষার্থী হত্যা মামলার ৩ আসামীর যাবজ্জীবন, পলাতক ২ জন

ছাতকের শিক্ষার্থী হত্যা মামলার ৩ আসামীর যাবজ্জীবন, পলাতক ২ জন
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
ছাতক এর কলেজ শিক্ষার্থী আল-আমিন হত্যা মামলার আসামী আক্কাছ(২৬), আজিজুল (২২) ও সাইদুল (২৪) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ ২০ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
মামলা সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বড়কাপন গ্রাম নিবাসী আনফর আলীর ছেলে জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজ এর মানবিক বিভাগের ছাত্র আল-আমিন ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা ছিল। ২০১৬ সালের ১৭ ই অক্টোবর সকালে এই কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁর  সহপাঠী একই উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ছনুয়া গ্রাম নিবাসী রফিক আলীর ছেলে আক্কাছ মিয়া, মৌজরাই গ্রাম নিবাসী আজরক আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম ও জাউয়া বাজার ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত লক্ষ্মণসোম গ্রাম নিবাসী আব্দুল হাসিম এর ছেলে সাইদুল হক গং ব্যাক্তি বর্গের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির দ্বন্দ্ব শেষে দুপুর ২ ঘটিকার দিকে আল আমিন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাড়ী ফেরার পথে উল্লেখিতরা পরিশোধ পরায়ন হয়ে তার পিছু নিয়ে বড়কাপন পয়েন্টে এসে  আল আমিন ও তার তিন বন্ধু দিলাল আহমদ, জুয়েল আহমদ ও নাজমুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায়  তাদেরকে স্থানীয় কৈতক সরকারি  হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। হাসপাতাল এর জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার আল-আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী আল- আমিন এর পিতা আনফর আলী বাদী হয়ে এদিনই ৫ জন এর নাম উল্লেখ করে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ নূর মিয়া ২০১৭সালের ৩০ শে জুন আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত ২০১৭ সালের ৬ ই নভেম্বর অভিযোগ আমলে নেন। আজ ১০ ই জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই মামলার রায় প্রদান করেছেন।
রায়ে মামলার আসামী ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ছনুয়া গ্রাম নিবাসী রফিক আলীর ছেলে আক্কাছ মিয়া, মৌজরাই গ্রাম নিবাসী আজরক আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম ও জাউয়া বাজার ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত লক্ষ্মণসোম গ্রাম নিবাসী আব্দুল হাসিম এর ছেলে সাইদুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ ২০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেওয়া হয়েছে। তমধ্যে আজিজুল হক ও আক্কাছ মিয়া পলাতক রয়েছে। এই মামলায় ৩০ জন সাক্ষী প্রদান করেন।
 এ ব্যাপারে রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী ড. খায়রুল কবির রুমেন বলেন, একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা।বাদী পক্ষ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আসামী সাইদুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন রায় ঘোষণার পর তাকে কারগারে পাঠানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন